• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে হোটেল ব্যবসা,খোঁজ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের

  • ''
  • প্রকাশিত ২০ নভেম্বর ২০২৩

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জে অবাক হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খাবার হোটেল ব্যবসা। অনুমোদনহীন ওই হোটেলের বিরুদ্ধে অধিক দামে খাবার বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গাবলতির কারণে হোটেলটিতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার দেদারসে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগে জানা গেছে, হোটেলের খাবারের গুণগত মান ও খাবার তৈরির পরিবেশের উপর নজরদারির কথা থাকলেও তার কোনটি করছেন না সংশ্লিষ্ট নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। যারফলে দীর্ঘদিন ধরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার অরঙ্গবাদ টাওয়ার স্ট্যান্ডে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি হোটেলটি পচাবাসি খাবার ও অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপরও থেমে নেই তাদের হোটেল ব্যবসা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেলের বাইরে থেকে সজ্জিত চাকচিক্য। হোটেলের ভেতরের দৃশ্যটি ভিন্ন। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর স্থানে খাবার তৈরি ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে ওইসব হোটেলে। ব্যবহার করা হচ্ছে অপরিস্কার পানি, ও খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর উপকরণ। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়াও পঁচা-বাসি খাবার দেদারসে বিক্রি হচ্ছে হোটেলটিত। তাও আবার উচ্চমূল্যে। ক্রেতাদের প্রতিনিয়তই ওইসব হোটেল ও রেস্টুরেন্টে গিয়ে মূল্যের ফাঁদে পড়তে হচ্ছে। এদিকে, হোটেল কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা রেখে স্বাচ্ছন্দে খাবার কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা।

বাদল নামের এক সিএনজি চালক বলেন, সিংগাইর রুটে গাড়ি চালানোর কারণে দুপুরে তীব্র ক্ষুধা নিয়ে হোটেলে খেতে বসি। হোটেলের খাবারের মান খুবই খারাপ। অথচ দামে যেন আকাশ ছুঁই ছুঁই।’

কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সবুজ বলেন, মাঝে মাঝে বিকেলে এই হোটেলে বন্ধুরা মিলে গ্রীল খেতে আসি। কিন্তু পোড়া মুরগীর মান খুবই খারাপ। মনে হয় বাসি মুরগী।
অবাক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকার অবাক বলেন, গ্রাম এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হোটেলের পরিবেশ আর কত ভালো থাকবে? আপনি যখন বললেন ভবিষ্যতে পরিবেশ আরো ভালো করার চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো: নূর- ই আলম সোহাগ বলেন, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও বিতরণের তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে রয়েছে। অনিয়মের কারণে ইতোমধ্যে ইউএনও মহোদয় হোটেল কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ভবিষ্যতে এরকম অনিয়ম করবেন না মর্মে মুচলেকাও দিয়েছেন। আমি প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছি। কিন্তু এখনো হোটেলে মানসম্মত পরিবেশ তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইনে সর্বনিম্ন জরিমানা ২ লাখ টাকা। শীঘ্রই প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads